আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রী বেশি। আর বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ। বছরের এই তৃতীয় মাসেই অস্বস্তি অবস্থা শহরবাসীর। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরাও। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনা ভাবাচ্ছে তাঁদেরও। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা জলীয়বাষ্প হীন শুকনো হাওয়ার জন্যই দক্ষিণবঙ্গে এইরকম ভ্যাপসা গরমের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদদের একটা অংশ মনে করছেন।
শুধু শহরেই নয়, তাপমাত্রা বেড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। ফলে স্বস্তি পেতে আপাতত পাহাড় মুখী হয়েও খুব একটা লাভ নেই। এদিকে উরিসা বিহার এবং ঝাড়খন্ড তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ বেমালুম গায়েব হয়েছে। ক্রমশ বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। ফাল্গুনী এই অবস্থা হলে চৈত্রে কি হবে? ভেবে কুল পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। জেলায় জেলায় মঙ্গলবার এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর অনুযায়ী, আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বালুরঘাটের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ার পারদ ছুঁয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়া, ব্যারাকপুর তাপমাত্রা ছিল ৩২.৯ ড্রিগ্রিতে, বহরমপুরে পারদ ছিল ৩৬ ড্রিগ্রিতে,বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৪ ডিগ্রিতে,ক্যানিংয়ে তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি,কাঁথির পারদ ছিল ৩৩.৫ ডিগ্রিতে, কোচবিহারের তাপমাত্রা ৩০.৬ ডিগ্রি, দার্জিলিং এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ১৬.৪ ডিগ্রিতে, ডায়মন্ডহারবার পারদ পৌঁছেছে ৩৫.৮ ডিগ্রিতে, দিঘার তাপমাত্রা তাপমাত্রা ছিল বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩১.৮ডিগ্রি, দমদমের তাপমাত্রা ৩৪.৬ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ৩৪.৯ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ৩১ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ২১.৫ ডিগ্রি, কৃষ্নগরের ৩৩.৪ ডিগ্রি, মলদা ৩২.৫ ডিগ্রি, মেদিনীপুর তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৪.৬ ডিগ্রিতে, পানাগড়ে ৩৪.৬ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ৩৪.৪ ডিগ্রি, সল্টলেক ৩৩.৯ ডিগ্রি, শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৩১.০ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতন ৩৩.৪ ডিগ্রি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন